Tips

বাজারের নানা ভেজাল খাবার ও পরিবেশদূষণের কারণে দেহে প্রবেশ করে বহু দূষিত পদার্থ। এসব দূষিত পদার্থ দেহ থেকে দূর করতে না পারলে তা দেহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ লেখায় রয়েছে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়, যা দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
১. আঁশযুক্ত খাবার : আঁশযুক্ত খাবার রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়। এটি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে লাল আটার খাবার, ডাল ও সবজি। আঁশযুক্ত খাবার আপনার রক্তের কোলেসটেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমাবে।
২. চিনি বর্জন : চিনি ও অন্য মিষ্টি খাবার নানাভাবে দেহে সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো বর্জন করলে দেহের দূষিত পদার্থ দূর করা সহজ হয়।
৩. অ্যালকোহল বাদ : অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় দেহে দূষিত পদার্থ তৈরি করে। অ্যালকোহল বর্জন না করলে দূষিত পদার্থ দেহ থেকে দূর করা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪. পর্যাপ্ত পানি : পানি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করায় সহায়ক। বেশি করে পানি পান না করলে দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হতে পারে।
৫. নিয়মিত খাওয়া : কোনো বেলায় খাবার না খেলে তা দেহের ওজন বাড়ায় এবং দূষিত পদার্থ দেহে জমা করার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য নিয়মিত প্রতিবেলায় খাবার খাওয়া দরকার।
৬. অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ : গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংসকে লাল মাংস বলা হয়, যা দেহে দূষিত পদার্থ দূর করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া ডার্ক চকোলেট বাদ দিতে হবে। বাড়তি তেলে উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা খাবারও মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো বাদ দিয়ে মাছ, বাদাম, সবজি ইত্যাদি বেশি করে খান।
৭. চর্বিবিহীন প্রোটিন গ্রহণ : দেহের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে এমন প্রোটিন গ্রহণ করুন যা সম্পূর্ণ চর্বিহীন। এ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রাণীজ চর্বি বাদ দিন।
৮. পর্যাপ্ত বিশ্রাম : দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য খাবারদাবারে সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানো ও বিশ্রাম করা প্রয়োজন।
৯. শারীরিক পরিশ্রম : শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দেহের অঙ্গগুলো সচল হয় এবং রক্ত পরিশোধনের মতো কার্যক্রম গতি পায়। আর নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে দেহ থেকে দূষিত পদার্থ সহজেই দূর হয়।
১০. সবজি ও ফলমূল খান : তাজা সবজি ও ফলমূলে রয়েছে প্রচুর আঁশ। এগুলো দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, এগুলো যেন শিল্প-কারখানায় প্রক্রিয়াজাত খাবার না হয়।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2015/11/09/288495#sthash.NcvqoFdV.P9f3YJHB.dpuf
বাজারের নানা ভেজাল খাবার ও পরিবেশদূষণের কারণে দেহে প্রবেশ করে বহু দূষিত পদার্থ। এসব দূষিত পদার্থ দেহ থেকে দূর করতে না পারলে তা দেহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ লেখায় রয়েছে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়, যা দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
১. আঁশযুক্ত খাবার : আঁশযুক্ত খাবার রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়। এটি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে লাল আটার খাবার, ডাল ও সবজি। আঁশযুক্ত খাবার আপনার রক্তের কোলেসটেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমাবে।
২. চিনি বর্জন : চিনি ও অন্য মিষ্টি খাবার নানাভাবে দেহে সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো বর্জন করলে দেহের দূষিত পদার্থ দূর করা সহজ হয়।
৩. অ্যালকোহল বাদ : অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় দেহে দূষিত পদার্থ তৈরি করে। অ্যালকোহল বর্জন না করলে দূষিত পদার্থ দেহ থেকে দূর করা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪. পর্যাপ্ত পানি : পানি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করায় সহায়ক। বেশি করে পানি পান না করলে দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হতে পারে।
৫. নিয়মিত খাওয়া : কোনো বেলায় খাবার না খেলে তা দেহের ওজন বাড়ায় এবং দূষিত পদার্থ দেহে জমা করার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য নিয়মিত প্রতিবেলায় খাবার খাওয়া দরকার।
৬. অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ : গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংসকে লাল মাংস বলা হয়, যা দেহে দূষিত পদার্থ দূর করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া ডার্ক চকোলেট বাদ দিতে হবে। বাড়তি তেলে উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা খাবারও মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো বাদ দিয়ে মাছ, বাদাম, সবজি ইত্যাদি বেশি করে খান।
৭. চর্বিবিহীন প্রোটিন গ্রহণ : দেহের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে এমন প্রোটিন গ্রহণ করুন যা সম্পূর্ণ চর্বিহীন। এ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রাণীজ চর্বি বাদ দিন।
৮. পর্যাপ্ত বিশ্রাম : দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য খাবারদাবারে সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানো ও বিশ্রাম করা প্রয়োজন।
৯. শারীরিক পরিশ্রম : শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দেহের অঙ্গগুলো সচল হয় এবং রক্ত পরিশোধনের মতো কার্যক্রম গতি পায়। আর নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে দেহ থেকে দূষিত পদার্থ সহজেই দূর হয়।
১০. সবজি ও ফলমূল খান : তাজা সবজি ও ফলমূলে রয়েছে প্রচুর আঁশ। এগুলো দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, এগুলো যেন শিল্প-কারখানায় প্রক্রিয়াজাত খাবার না হয়।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2015/11/09/288495#sthash.NcvqoFdV.P9f3YJHB.dpuf


(অনলাইন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত)

যা খেলে চুল পাকবে না

চুল কি শুধু বয়সের কারণেই পাকে? না, চুল ধূসর বা সাদা হয়ে যাওয়ার অন্তরালে রয়েছে আরো অনেক কারণ। অনেককেই দেখবেন অল্প বয়সেই চুল ধূসর হয়ে গিয়েছে, আবার অনেকের বয়স হওয়া সত্ত্বেও চুলে পাক ধরেনি। এর পেছনে জিনগত কারণ তো আছেই, আবার আছে লাইফ স্টাইল ও খাবারের ভূমিকাও।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো চুল পাকার গতিতে করবে মন্থর, অকালে চুল পাকতে দেবে না এবং ধরে রাখবে আপনার যৌবন।

বেরি জাতীয় ফল নানান রকম বেরি জাতীয় ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও Anti Oxidant। দেশি হোক বা বিদেশি, খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রতিদিন বেরি জাতীয় ফল। এই দুটি উপাদানই স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এরা কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় ও অতিরিক্ত Free Radical নিস্ক্রিয় করার মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ধীর করে তথা আপনার যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।

সবুজ শাজসব্জি সকলেই জানেন যে সবুজ শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, Anti Oxidant ও ডায়েটারি ফাইবার। একই সঙ্গে আছে ভিটামিন বি, যা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চুলের যে কোনো সমস্যা প্রতিরোধ করে ভিটামিন বি। হ্যাঁ, চুল সাদা হয়ে যাওয়াকেও।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ মাছে অবশ্যই উচ্চ মাত্রার প্রোটিন আছে যা আপনার হাড়, চুল, ত্বক সবকিছুর জন্যই জরুরি। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছগুলোতে আছে উচ্চ মাত্রার Omega 3 Fatty Acid ও সেলেনিয়াম, যা শরীরে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। সাথে Anti Oxidant তো আছেই।

চকলেট চিনি বিহীন কিংবা স্বল্প চিনিযুক্ত চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা মেলানিন তৈরিতে সহায়ক। এই মেলানিনই আমাদের চুলের রঙ কালো করার ভূমিকা পালন করে। সারাদিনে একটুখানি চকলেট খেলে কোনও ক্ষতি নেই ।
কাঠবাদাম চকলেটের মত কাঠবাদামেও আছে প্রচুর কপার যা মেলানিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। এছাড়া আছে প্রচুর ভিটামিন ই যা সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য খুবই জরুরি।



চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রস

চুল পড়া সমস্যায় কম বেশি অনেকেই ভুগে থাকেন। যাদের চুল পড়ার মাত্রা বেশি তাদের অনেক ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায়। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। আমাদের হাতের কাছেই থাকা পেঁয়াজ চুল পড়া বন্ধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এই উপাদানটির রস ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। চলুক জেনে নেয়া যাক চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের নানাবিধ ব্যবহার।

পেঁয়াজের রস মধু:
খুশকি এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস এবং মধু নিন। মাথায় হাল্কা মালিশ করে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস আমন্ড অয়েল:
আমন্ড তেল রুক্ষ চুলের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশালে চুল পড়া বন্ধ করতেও এটি সাহায্য করে। এক্ষেত্রেও এই দুইটি সমপরিমাণে নিয়ে মাথায় লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রাখার পর হাল্কা গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল:
চুলের চর্চার ক্ষেত্রে নারকেল তেল বহুকাল ধরে ব্যবহূত হয়ে আসছে।  এটি চুল পড়া বন্ধেরও সাহায্য করে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ  রস মেশালে কার্যকারিতা আরো বেশি বেড়ে যায়। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ করবে।

পেঁয়াজের রস অলিভ অয়েল:
চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ও অলিভ অয়েল হল পারফেক্ট কম্বিনেশন। ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই মিশ্রণটি হাল্কা গরম করে চুলে লাগান। এক-দেড় ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস গরম পানি:
এক মগ গরম পানিতে পাঁচটি পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটির দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এর পাঁচ মিনিট পর শুধু পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এক মাসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।


মেয়েদের দৃষ্টিতে ভাল ছেলেরা
কথায় আছে মেয়েদের মন নাকি ঈশ্বর ও বুঝতে পারেন না। মেয়েরা কখন কি চায়, কাকে চায় তা অন্যকেউ বুঝতে পারে না।

ধরুন, ছেলেটি বেশ ভালো, পড়াশোনা, স্বভাবসবেতেই। কিন্তু কোথায় যেন একটা কমতিরয়েছে, তাই তো কোনও মেয়েই তাকে প্রেমিক হিসেবে মেনে নিতে চায় না বা কোনও প্রেমিকাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে বেশিদিন স্থির থাকে না। সবার চোখেই ওই সিধেসাধা ছেলেটি মায়ের আঁচলে থাকা লক্ষ্মী ছেলে হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু কেন হয় এমন? কারণগুলো আসুন জেনে নিই-
১. গায়ে পড়া স্বভাব নেই:
গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করা বা গায়ে পড়ে থাকা এদের স্বভাব নয়। শুধু মেয়ে কেন, কারও গায়ে পড়ে আলাপ করাটা এদের না-পছন্দ। এমনকি কেউ আলাপ করতে এলেও নিজের মধ্যেই গুটিয়ে থাকেন। ফলে তাদের পরিচিত মানুষের পরিধি খুবই ছোট আর সেই পরিধিতে মেয়েদের সংখ্যা আরও কম।

২. এরা কাউকে প্রতারিত করতে পারেন না:
কোনও মেয়েকে নিজের প্রেমে ফেলতে গেলে একটু কৌশল, একটু ছলাকলা জানতেই হয়। বলাই বাহুল্য যে, ভালো ছেলেরা এসব থেকে একশ হাত দূরে থাকেন এবং এগুলো বোঝেন না। প্রেমের সপ্ত ছলকলা এদের রপ্তের বাইরেই থেকে যায়।

৩. ভালো ছেলেরা বোরিংহয়:
ভালো ছেলেরা কোন মুহূর্তে কী কাজ করবে, তা সহজেই ধারণা করা যায়। কিন্তু খারাপ ছেলেদের ক্ষেত্রে এ কথা খাটে না। এই বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের প্রেমিকা হওয়া মেয়েদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
আবার বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের শুধরাতে মেয়েরা ভালোবাসে। ওই ছেলেটিকে নিজের মতো করে তৈরি করাই মেয়েদের মিশন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ভালো ছেলের মধ্যে ঠিক ঠাক করার কিছুই নেই। তাই তাদের না-পসন্দ করেন মেয়েরা।

৪. মায়ের কথা মেনে চলে:
ভালো ছেলে মায়ের কথা মতো কাজ করে। মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবে না বা সব সিদ্ধান্তে মাকে শামিল করে তারা। তার প্রেমিক তার পরিবর্তে মায়ের কথা মতো কাজ করছে! এই সত্যটি তারা ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তাই এই আপাত ভালো ছেলেটিকে তাঁরা mumma’s boy বলে হেয় করতেও ছাড়েন না। এই mumma’s boy-রা তাদের অপছন্দের তালিকায় থাকেন।
৫. প্রথমেই সিরিয়াস হয়ে যায়:
আলাপের পর প্রথম ডেটিংয়ে এসেই আমার ওপর অধিকার ফলানো!নিজের স্বপ্নের মেয়ের খোঁজ পাওয়ার পরই ভালো ছেলেরা তাদের নিয়ে খুব সিরিয়াস এবং পজেসিভ হয়ে পড়ে। তাঁর যত্ন নিতে গিয়ে অনেক সময় ছেলেরা অধিকার ফলাতে শুরু করে। ফলে সম্পর্ক শুরু আগেই সেখানে ফুলস্টপ লাগিয়ে দেয় মেয়েটি।

৬. প্রচণ্ড আবেগী হয়:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ছেলেরা প্রচণ্ড আবেগী ও স্পর্শকাতর। আবার কথায় কথায় আবেগের বন্যায় ভেসে যায়এমন ছেলেদের থেকে মেয়েরা তফাত্ বজায় রাখেন।

ভালো ছেলেরা শেষ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারে না তার প্রেমিকাকে কী বলবে বা কী বলবে না। কিন্তু বিগড়ে যাওয়া ছেলেরা ভালোভাবেই জানে, কী বললে মেয়েটিকে খুশি করা যাবে। আবার মেয়েদের ধারণা, ভালো ছেলেরা ভালো রমাঞ্চকরসঙ্গী হতে পারে না।
চিরকাল ধরে ছেলেরাই মেয়েদের নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। তা সে যে কোনও ধরনেরই নিরাপত্তা হোক না-কেন। বিগড়ে যাওয়া বা হিরো সেজে ঘুরে বেড়ানো ছেলেরা মেয়েদের আশ্বস্ত করে যে, তাদের সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখবে। কিন্তু ভালো ছেলেদের সাধারণত দুর্বল মনে করে মেয়েরা, তাই এ ব্যাপারে তাদের ওপর ঠিক ভরসা রাখতে পারে না।
জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। ছেলেরা ভালো এবং খারাপের তালিকায় ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু আদর্শ ছেলেদের উচিত এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা।




চর্বি খুব দ্রুত কমিয়ে দেবে এই পানীয়টি

শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে আমাদের সবার দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। কিন্তু যখন আমাদের ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তখন অনেকেই সচেতন হই না।ওজন বেড়ে যাওয়ার পর সবাই সচেতন হতে শুরু করি। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, দেহের ওজন একদিন দুইদিন বা সাতদিনে কারো বৃদ্ধি পায়না। অনেক সময় নিয়েই বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য আমরা সময় দিতে চাই খুবই কম। দ্রুত ওজন কমানোর বেশির ভাগ পদ্ধতিই অনেক সময় কার্যকর হলেই খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়না, আবার বেড়ে যায়। তাই ওজন কমাতে সহায়ক কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে ওজন কমানো শুরু করে আমরা যদি সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করি তবে ধীরে ধীরে দেহের এই বাড়তি ওজন কমে গিয়ে আমরা অনেকটা ভাল থাকতে পারি। আজ আপনাদের জন্য দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি রেসিপি দেয়া হলো। এটি খাওয়ার পর দেহের বিপাক ক্রিয়া এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।এই রেসিপিটি এমন সব উপাদান দিয়ে তৈরি করা যা দেহকে সতেজ করতেও সাহায্য করে।এই পানীয়টি দেহের চর্বি দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে।

কীভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়?

উপকরণ:
- ২ চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার
- ২ চা চামচ ছাফি (হামদদ’ প্রোডাক্ট)  
- ২ চা চামচ মধু
- ধা লেবুর রস
- ২ কোয়া রসুন বাটা
- ধা চামচ আদা বাটা
- ধা চামচ দারুচিনি বাটা
- অল্প পরিমান গোল মরিচের গুঁড়া
- পরিমান মত গরম পানি
 
সব উপকরণ ১ কাপ পরিমান একসাথে খুব ভাল করে মিক্স করে নিন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে breakfast এর পর এবং রাতে dinner এর ১ ণ্টা পর টক ঝাল মিষ্টি A cup of tea খেয়ে নিন। এটি খাওয়ার ফলে দেহের চর্বি দ্রুত কমতে থাকবে।


দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করার উপায়

বাজারের নানা ভেজাল খাবার ও পরিবেশদূষণের কারণে দেহে প্রবেশ করে বহু দূষিত পদার্থ। এসব দূষিত পদার্থ দেহ থেকে দূর করতে না পারলে তা দেহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ লেখায় রয়েছে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়, যা দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।

১. আঁশযুক্ত খাবার : আঁশযুক্ত খাবার রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়। এটি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে লাল আটার খাবার, ডাল ও সবজি। আঁশযুক্ত খাবার আপনার রক্তের কোলেসটেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমাবে।
২. চিনি বর্জন : চিনি ও অন্য মিষ্টি খাবার নানাভাবে দেহে সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো বর্জন করলে দেহের দূষিত পদার্থ দূর করা সহজ হয়।
৩. অ্যালকোহল বাদ : অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় দেহে দূষিত পদার্থ তৈরি করে। অ্যালকোহল বর্জন না করলে দূষিত পদার্থ দেহ থেকে দূর করা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪. পর্যাপ্ত পানি : পানি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করায় সহায়ক। বেশি করে পানি পান না করলে দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হতে পারে।
৫. নিয়মিত খাওয়া : কোনো বেলায় খাবার না খেলে তা দেহের ওজন বাড়ায় এবং দূষিত পদার্থ দেহে জমা করার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য নিয়মিত প্রতিবেলায় খাবার খাওয়া দরকার।
৬. অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ : গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংসকে লাল মাংস বলা হয়, যা দেহে দূষিত পদার্থ দূর করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া ডার্ক চকোলেট বাদ দিতে হবে। বাড়তি তেলে উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা খাবারও মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো বাদ দিয়ে মাছ, বাদাম, সবজি ইত্যাদি বেশি করে খান।
৭. চর্বিবিহীন প্রোটিন গ্রহণ : দেহের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে এমন প্রোটিন গ্রহণ করুন যা সম্পূর্ণ চর্বিহীন। এ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রাণীজ চর্বি বাদ দিন।
৮. পর্যাপ্ত বিশ্রাম : দেহের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য খাবারদাবারে সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানো ও বিশ্রাম করা প্রয়োজন।
৯. শারীরিক পরিশ্রম : শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দেহের অঙ্গগুলো সচল হয় এবং রক্ত পরিশোধনের মতো কার্যক্রম গতি পায়। আর নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে দেহ থেকে দূষিত পদার্থ সহজেই দূর হয়।
১০. সবজি ও ফলমূল খান : তাজা সবজি ও ফলমূলে রয়েছে প্রচুর আঁশ। এগুলো দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, এগুলো যেন শিল্প-কারখানায় প্রক্রিয়াজাত খাবার না হয়।


রোজ সকালে এক চামচ পাতিলেবুর রস, নতুন জীবন পাবে লিভার -

ত্বকের সমস্যা? লিভার দায়ী। পেটের সমস্যা? লিভার দায়ী। চুলের সমস্যা? লিভার দায়ী। এমন এক অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গকে আমরা হামেশাই দূচ্ছাই করে থাকি। জাঙ্ক ফুড, তেল-মশলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত মদ্যপান, দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকা ইত্যাদি বহুবিধ অত্যাচার চলতেই থাকে লিভারের ওপর। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। লিভারও প্রতিশোধ নেয়। এখনকার ব্যস্ত সময়ে চটজলদি লিভারের যত্নই বা নেবেন কী করে?
রোজ সকালে খালি পেটে একটি পাতিলেবুর রসের সঙ্গে এক চা চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে খান। টানা এক মাস খাওয়ার পর আপনি নিজেই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। কী সেই পরিবর্তন? হজম শক্তি বেড়ে যাবে, ডার্ক সার্কেল মিলিয়ে যাবে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে আর সেই সঙ্গে সারা দিন এনার্জিতে টগবগ করবেন।
কী এমন করে এই মিরাকল মিক্সচার? প্রথমত, অলিভ অয়েল গল ব্লাডার বা পিত্ত থলি এবং লিভারের চ্যানেলগুলি খুলে দেয়। এবং সেখানে যত অাবর্জনা জমে থাকে তা পরিস্কার করে দেয়। লেবুর রসেরও কাজ অনেকটা একই রকম। সঙ্গে যা করে তা হল, ব্লাড ভেসেলে জমে থাকা বাজে কোলেস্ট্রল সরিয়ে ফেলে। আর এটা তো প্রায় সকলেই জানেন যে, লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।


অল্প বয়সে চুল পাকলে কী করবেন?

০১. আমলকি লেবুর রস মিশ্রণঃ
আমলকি লেবু দুটোই আমাদের দেশে জন্মে এবং সহজলভ্য। এই দুটো ফলের পুষ্টি গুণ অত্যন্ত বেশি। শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি চামড়ার ইনফেকশন এবং মাথার চামড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো ফলের জুড়ি নেই। তাই অকালে চুল পাকা রোধের জন্য বাজার থেকে আমলকির গুঁড়া কিনে এনে তা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় ম্যাসাজ করুন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।
০২. পেঁয়াজ বাটাঃ
মশলা হিসেবে পেঁয়াজ একটি আবশ্যকীয় উপাদান। বাংলাদেশে কমবেশি সব রান্নাঘরেই পেঁয়াজ থাকে। আর পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা রোধের অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র। পেঁয়াজ ভালোমত বেটে নিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ মাথার চামড়ায় চুলে ম্যাসাজ করলে এবং চুলে পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হয়ে যাবে। তবে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন একবার করে এই উপায় অনুসরণ করতে হবে।
০৩. নারিকেল তেল এবং লেবুর রসঃ
চুলের যত্নে নারিকেল তেলের কোন জুড়ি নেই। আর লেবুর গুণাগুন তো আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ চুলের গোড়ায় এবং মাথার চামড়ায় লাগান। দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। তার পাশাপাশি আপনার মাথার চামড়া সুস্থ থাকবে, খুশকি হবে না এবং চুলও হবে উজ্জ্বল।
০৪. গাজরের রসঃ
গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি উপাদান। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিনারাল এর একটা সিংহভাগ গাজর একাই পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। চুলের যত্নেও গাজর বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বাজার থেকে গাজর কিনে এনে সেটিকে ব্লেন্ডারে পানি, চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। গাজরের যে জুস পাওয়া যাবে, সেটি নিয়মিত পান করুন। প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস করে গাজরের রস পান করলেই আপনার পাকা চুলের প্রতিকার পাওয়া শুরু করবেন। শুধু চুল নয়, সেইসাথে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতেও এই গাজরের জুস সাহায্য করবে।
০৫. তিলের বীজ এবং বাদাম তেলঃ
তিলের বীজ এবং বাদাম তেল এই দুইটি বাজারে বেশ সহজলভ্য। স্কিন ডাক্তাররা চুলের যত্নে মাঝে মধ্যে এই চিকিৎসাটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চিকিৎসায় সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। প্রথম তিল বীজ গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। এই পেস্টটি চুলে মাথার চামড়ায় লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপরের পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে সহজে ঘরে বসেই অকালে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। তবে যে কথাটি আমার লেখায় বার বার বলি, সেটা হচ্ছে প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ উত্তম। সাধারণত পুষ্টিহীনতা, টেনশন, অবসাদ, ঘুম কম হওয়া এগুলোর কারণে অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পুষ্টিকর শাকসবজি খাবেন, পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন।


নতুন চুল গজাবার একটি কার্যকরী পদ্ধতি

আজকাল চুল পড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমবেশি সকলেরই আছে। এত কিছু করেন, তবু যেন চুলগুলোকে রক্ষা করা যায় না। আর ফলাফল হচ্ছে অকালে চুল পড়ে টেকো হয়ে যাওয়া। আপনার সাধের চুলগুলোকে কীভাবে বাঁচাবেন? কীভাবে মাথায় নতুন চুল গজাবেন? সমাধান আছে হাতের নাগালেই। আপনার মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করবে একটি সাধারণ অল্প মূল্যের তেল। শুধু চুল নয়, চোখের পাপড়ি আর ভ্রু ঘন করতেও এই তেল দারুণ কার্যকরী!
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আমরা বলছি ক্যাস্টর অয়েলের কথা। ক্যাস্টর অয়েল কোন অপরিচিত জিনিস নয়, বরং অনেকেই চেনেন। কিন্তু এটা জানেন না যে নতুন চুল গজাতে এই তেল দারুণ উপকারী। ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক এসিড যা নতুন চুল, ভ্রু, চোখের পাপড়ি গজাতে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও চুলের রুক্ষ্মতা দূর করে চুলকে মোলায়েম করে তুলতে সহায়তা করে এই তেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ক্যাস্টর অয়েল একটানা ব্যবহার করলে হবে না, করতে হবে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে একদিন করে টানা সপ্তাহ ব্যবহার করুন এই তেল। ক্যাস্টর অয়েল মধুর মত ঘন, প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হতেই পারে। ব্যবহার করার পদ্ধতি বেশ সোজা। ক্যাস্টর অয়েল নিন, এতে যোগ করতে পারেন একটি ভিটামিন ক্যাপসুলের ভেতরকার তরল। চুল লম্বা হলে একাধিক ক্যাপসুল দিন। এরপর এত তেল রাতে ঘুমাবার আগে ভালো করে মাথায় মাখুন। বিশেষ করে চুলের গোঁড়ার ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। সারারাত এই তেল চুলে থাকতে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কোন বাড়তি কন্ডিশনার লাগবে না।
কোথায় পাবেন, কেমন দাম?
যে কোন ফার্মেসীতে সুপারশপে ক্যাস্টর অয়েল পাবেন আপনি। দেশি-বিদেশি দুই রকমই পাওয়া যায়। দেশি তেলগুলো দামে বেশ সস্তা। মোটামুটি ১০০ টাকার কমে আপনি এক বোতল পাবেন যা ব্যবহার করতে পারবেন মাস! বিদেশি গুলোর দাম একটু বেশি। মানও একটু ভালো।
তাহলে আর দেরি কেন, চুলের জন্য বাড়তি চর্চা শুরু করে যাক আজই। পাতলা হয়ে যাওয়া চুলগুলো আবার হয়ে উঠুক ঘন।
(যাদের বংশগত কারণে বা কোন অসুখের জন্য টাক পড়ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কোন চিকিৎসাই কাজে দেবে না। প্রয়োজন আগে অসুখের চিকিৎসা। যাদের চুল পড়ছে স্ট্রেস, যত্নের অভাব, ভুল প্রসাধন ইত্যাদি কারণে; তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজে দেবে।)



ঠোঁটের কালো দাগ
সুন্দর হাসির জন্য সুন্দর মসৃণ ঠোঁটের তুলনা হয় না। যদিও আধুনিক জীবনযাপন পদ্ধতি, খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত রোদ, ধূমপানসহ নানা কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। অনেকে মনে করেন একবার ঠোঁট কালচে হয়ে গেলে আবার আগের রঙ ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন খরচসাপেক্ষ। কিন্তু ঘরে যত্ন নিয়ে কালচে ঠোঁটে আনতে পারেন গোলাপী আভা।.
গ্লিসারিন :
শুষ্ক ঠোঁট দ্রুত রোদের সংস্পর্শে এসে কালো হয়। ঘুমাতে যাবার আগে তুলোতে খানিকটা গ্লিসারিন নিয়ে ঠোঁটে লাগান। সকালের আগে ধোয়ার দরকার নেই। এভাবে ঠোঁটের শুষ্কতা কালচে ভাব দুটোই কমে আসবে।
লেবু মধুর মিশ্রণ :
সমপরিমাণ লেবু মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। ঘণ্টা রেখে দিন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন বা মুছে ফেলুন। এভাবে যতবার ইচ্ছে লাগাতে পারেন। আর এই মিশ্রণটি ফ্রিজে প্রায় সপ্তাহের মতো রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। দেখবেন কিছুদিনের মাঝেই আপনার ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
স্ট্রবেরির রস :
দুই চা চামচ স্ট্রবেরি রসের সঙ্গে এক চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে ঠোঁটে হালকা করে ঘষে রেখে দিন। মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহারে ঠোঁটে গোলাপী আভা ফিরে আসে।
আলমন্ড অয়েল :
আলমন্ড অয়েল বেশ সহজলভ্য, যেকোনো প্রসাধনীর দোকানেই পাবেন। দামেও সস্তা। চুল, ত্বকের পাশাপাশি এটি ঠোঁটের জন্যও ভালো। রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে আলমন্ড অয়েল লাগিয়ে ঘুমান। ছাড়া চামচ আলমন্ড অয়েলের সঙ্গে চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন।
  
ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করার সহজ ৪ পদ্ধতি
 
ত্বকের তেলতেলে ভাবের কারণে খুব সহজেই মুখে ময়লা জমে। এতে ব্রণসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। আর ত্বকে একটা কালচে ভাবও দেখা যায়। অনেক নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। অথচ প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করতে পারেন ত্বকের তেলতেলে ভাব। সেজন্য দরকার-
১. ক্লিনজিং
ত্বকের লোমকূপের মুখ খুলে পরিস্কার করতে ক্লিনজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসওয়াশ অথবা ক্লিনজিং মিল্ক মুখে মেখে তুলা দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বকের তেলতেলে ভাব অনেকটা কেটে যাবে।
২. লেবুর রস
লেবুর সাইট্রিক এসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরে সামান্য লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ডিম
প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ত্বকের জন্য ডিম বেশ কার্যকরী। ডিমের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে যাবে।
৪. টমেটো
টমেটো ত্বকের বাড়তি তেল দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী। টমেটো চটকে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বকে টানটান ভাব চলে আসবে এবং তেলতেলে ভাব দূর হবে। এভাবে নিয়মিত চর্চা রাখলে ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর হবে আর আপনাকে দেখাবে প্রাণবন্ত।
  
ব্রণ সমস্যার ঘরোয়া কিছু সমাধান
ব্রণ সমস্যা নেই এমন মানুষ বিরল। মুখ ভর্তি ব্রণের যন্ত্রণায় অনেকেই বিপদে আছেন। কতো ওষুধ খেয়েছেন, এটা ওটা মুখে মেখেছেন কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনও লাভ হচ্ছে না। ব্রণ তো কমেই নাই বরং বিচ্ছিরি দাগ ও গর্ত হয়ে গেছে। সাধারণত বয়োসন্ধিকালে ব্রণের সমস্যা হলেও এটা যে কোনো বয়সেই হতে পারে। বিশেষ করে গরমের সময় ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। খুব সহজেই ব্রণের উপদ্রব অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারবেন ঘরোয়া উপায়ে। তাহলে জেনে নেয়া যাক ব্রণ সমস্যা দূর করার যাদুকরী পদ্ধতিগুলো।

সকাল বেলায় মধু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে। তাছাড়া মধু ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে এবং ত্বককে অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্ত করে। প্রথমে হাত ভিজিয়ে নিন। এবার হাতের তালুতে আধা চা চামচ মধু নিয়ে নিন। তারপর হাতের তালু ঘষে মধু গরম করে নিন। এরপর পুরো মুখে মধু ম্যাসাজ করে নিন ২ মিনিট ধরে। ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন কয়েকবার করে।
রাতে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন
আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়। প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
গোলাপ জলের টোনার
প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে। পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে। বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও টোনারের কাজ হবে।
স্ক্র্যাবার হিসেবে বেকিং সোডা
আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার। প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।

পেটের চর্বি থেকে মুক্তি!
১. এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খাবেন।
২.সকালে দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেতে হবে। লেবুর শরবত পান করার পরই এটি খেয়ে নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিটি আপনার শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ গতিতে করবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
৩. সকালের নাশতায় অন্য খাবারের পরিমাণটা কমিয়ে সেখানে স্থান করে দিতে হবে ফলের। প্রতিদিন সকালে এক বাটি ফল খেলে পেটে চর্বি জমার হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে।
৪. পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে হলে পানির সঙ্গে করতে হবে বন্ধুত্ব। কেননা পানি আপনার শরীরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর সব কিছু বের করে দিতে সাহায্য করে।
৫. সাদা চালের ভাত থেকে দূরে থাকুন। এর পরিবর্তে আটার তৈরি খাবার খেতে হবে।
৬. দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করুন আপনার খাবার। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে
৭. চিনিজাতীয় খাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে পেট ও ঊরুতে।
পেটের চর্বি থেকে রেহাই পেতে হলে চিনি এবং চিনিজাতীয় খাবারের সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া উপায় নেই।


প্রতিদিন ২ কোয়া রসুন খাওয়ার ৩২টি উপকারিতা
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই একেবারে পছন্দ করেন না। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। বিশেষ করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই।
প্রতিদিন ২ কোয়া রসুন খেলে ৩২টি উপকার পাওয়া যায়।
১. অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
২. স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৩. উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৪. গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৫. ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৬. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।
৭. যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
৮. দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
৯. শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।
১০. হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
১১. কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১২. গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে।
১৩. হৃদপিন্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
১৪. রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
১৫. প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১৬. পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
১৭. ইষ্ট ইনফেকশন দূর করে।
১৮. ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে।
১৯. ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
২০. দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
২১. চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২২. হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়।
২৩. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২৪. ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২৫. দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।
২৬. ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
২৭. আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
২৮. দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
২৯. চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
৩০. রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩১. দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩২. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সতর্কতাঃ
১/ দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন garlic খাওয়া যায়।
২/ রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো।
৩/ অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে।


কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ কেমন হয়
আপনি জানেন কি মানুষের রক্তের গ্রুপ তার কিছু নিজস্ব সকীয় বৈশিষ্ট্য বহন করে। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের মানুষের স্বভাবের স্বভাবগত বিশ্লেষণ-
1. ”O+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ… দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
2. ”O-”এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।
3. ”A+”এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
4. ”A-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।
5. ”B+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান,সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী,আবেগ প্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
6. ”B-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।
7. ”AB+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বু্দ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
8. ”AB-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুব বেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।

জন্মতারিখ আপনার সম্পর্কে কী বলে?
জ্যোতিষীরা বলেন, মানুষের আচার আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপরে জন্মতারিখের এক ধরণের প্রভাব রয়েছে। অনেকেই এই ধরণের কথার ওপর বিশ্বাস রাখেন না। কিন্তু একই জন্মগত তারিখের মানুষদের মাঝে আসলেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বাস না হলে দেখে যাচাই করে নিন, জন্মের তারিখের সঙ্গে চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।

জন্ম তারিখ যদি ১, ১০, ১৯, ২৮ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ১
জন্ম তারিখ যদি ২, ১১, ২০, ২৯ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ২
জন্ম তারিখ যদি ৩, ১২, ২১, ৩০ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৩
জন্ম তারিখ যদি ৪, ১৩, ২২, ৩১ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৪
জন্ম তারিখ যদি ৫, ১৪, ২৩ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৫
জন্ম তারিখ যদি ৬, ১৫, ২৪ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৬
জন্ম তারিখ যদি ৭, ১৬, ২৫ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৭
জন্ম তারিখ যদি ৮, ১৭, ২৬ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৮
 জন্ম তারিখ যদি ৯, ১৮, ২৭ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৯

জন্ম সংখ্যা ১ হলে
আপনি অনেক উচ্চাভিলাষী এবং জেদি ধরণের একজন মানুষ। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। বর্তমানে যদি বেশি সফলতা নাও পান তবে আপনার হাতে সফলতা নিশ্চিত ভাবেই আসবে। আপনি মোটেও স্বার্থপর নন।কিন্তু মানুষ আপনাকে অনেক গম্ভীর ভেবে আপনার সঙ্গে বেশ কম মেলামেশা করেন এবং আপনাকে স্বার্থপর ভেবে থাকেন। আপনি কাউকে ভালোবাসলে অনেক বেশি ভালোবাসেন। এমনকি সকল ভুল মাফ করে ভালবাসতেও আপনি পারেন। আপনাকে বোঝার মতো কম মানুষই রয়েছে পৃথিবীতে।

জন্ম সংখ্যা ২ হলে
আপনি অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। মাঝে মাঝে আপনি সততার জন্য অনেক বিপদেও পরে থাকেন তারপরও আপনি সৎ থাকাই ভালো মনে করেন। আপনি নিজের দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। মানুষ আপনাকে একজন বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু ভাবেন। মানুষ খুব সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করে। এবং আপনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন।আপনি একই সঙ্গে বেশ মজার একজন মানুষ এবং আপনার চিন্তাধারা আর দশজনের তুলনায় খুবই আধুনিক।

জন্ম সংখ্যা ৩ হলে
আপনি অনেক আত্মকেন্দ্রিক একজন মানুষ। নিজের নতুন নতুন চিন্তা ও তত্ত্ব আপনার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিজের এইসকল চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেকটা সময় পার করে দেন। তবে সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক স্মার্ট চিন্তাশীল মানুষ বলা চলে। তবে আপনার সিদ্ধান্তটি অনেক মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্য নাও হতে পারে। এমনটা হলেও আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

জন্ম সংখ্যা ৪ হলে
আপনি পুরোপুরি দর্শন তত্ত্বে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি অনেক বেশি আবেগিও বটে। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার বন্ধু বান্ধব এবং অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার মধ্যে ইনটুইশন ক্ষমতা আছে। অনেক ধরনের ঘটনা ঘটার আগে থেকেই আঁচ করে ফেলার ক্ষমতা আপনার আছে। মানুষ বেশিরভাগ সময় আপনাকে ভুল বুঝে দূরে চলে যায়। আপনি কোন ধরণের মানুষ তা মানুষজন একেবারেই বুঝতে পারে না।এমনকি পরিবারের অতি আপনজনও আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেন না।

জন্ম সংখ্যা ৫ হলে
আপনি বেশ ‘ডমিনেটিং’ স্বভাবের একজন মানুষ। আপনি আত্মনির্ভরশীলটা এবং স্বাধীনতা অনেক বেশি পছন্দ করেন। আপনি নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন।অনেক ক্ষেত্রেই আপনি ভাবেন ‘সব কিছু আমার মতো করে হতে হবে’। আপনি নিজে অনেক বেশি স্বাবলম্বী। আপনি আপনার নিজের ও পছন্দের মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে পারেন।তবে যদি তারা আপনার কথা মতো চলেন।

জন্ম সংখ্যা ৬ হলে
আপনি অনেক বেশি হাসিখুশি এবং সেনসিটিভ স্বভাবের।মানুষ আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি প্রায় সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। আপনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসামাখা আচার আচরণের কারনে সবাই আপনার সঙ্গ পছন্দ করে। তবে একই সঙ্গে আপনার সেনসিটিভ স্বভাবের কারণে মানুষজন কিছুটা দূরে দূরে থাকেন। আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত আরও বেশি চিন্তা ভাবনায় উন্নত করতে চান। আপনি ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করতে চান। আপনি মানুষকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন।

জন্ম সংখ্যা ৭ হলে
আপনি একজন হাসিখুশি ও উদ্বেগহীন মানুষ। আপনি একই সঙ্গে সমঝোতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি একজনের ভালো করলে সেও আপনার ভালো করবে এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনি খুব ভালো একজন শ্রোতা। আপনি আপনার সকল আপনজনের কাছে জনপ্রিয় এই কারণে যে আপনি সকলের হাসিমুখ দেখতে পছন্দ করেন।অনেক বেশি সমস্যা ও দুশ্চিন্তাও আপনি ঝেড়ে ফেলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। আপনাকে কোন ধরনের চিন্তা ও উদ্বেগ স্পর্শ করতে পারে না। সব কিছু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে আপনার।

জন্ম সংখ্যা ৮ হলে
আপনি অনেক চার্মিং ও এনার্জেটিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ। আপনি খুব ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন।‘জীবন একটিই, যতটা মজা করে নেওয়া সম্ভব করে নেয়া উচিৎ’ এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনার মধ্যে কোনো মেকি ভাব নেই। আপনি যেমন ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন এবং করতে পছন্দ করেন। মানুষজন বেশীরভাগ সময় আপনার সোজাসাপ্টা কথা বলার ধরন অপছন্দ করে থাকে। কিন্তু আপনি নিজের চিন্তাটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

জন্ম সংখ্যা ৯ হলে
আপনি খুব ভাগ্যে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি জীবনকে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে দেখেন। কারণ আপনি অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। আপনি জীবনে যা চেয়েছেন তার বেশিরভাগি পেয়েছেন এবং পাবেন বলে আশা করেন। যে কারণে আপনি নিজের ভাগ্যের ওপর ভরসা করে চলতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং আপনি আপনার পাওয়া নিয়ে গর্ববোধ করেন সবসময়। আপনি আপনার আপনজন এর জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন। আপনার পথ অনেকেই অনুসরণ করেন।


দেখে নিন আপনার জন্ম মাসটি আপনার সম্পর্কে কী বলে
প্রত্যেক মানুষই জীবনে কোনো না কোনো সময় একটি প্রশ্ন নিজেকে করেছেনই, আর তা হলো- আমি এমন কেন?’ নিজেকে এই ধরণের প্রশ্ন করেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকটি মানুষই পরস্পর থেকে একেবারে আলাদা। তাদের চিন্তা ভাবনা, মনমানসিকতা একেবারেই ভিন্ন। কিন্তু আসলেই কি তাই? জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কিছু জিনিস রয়েছে যা অনেক মানুষের মধ্যেই একইভাবে থাকে। এগুলো হচ্ছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য যা একই তারিখে বা একই মাসে জন্মানো মানুষের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। জ্যোতিষীরা বলেন যে একজন মানুষ কেমন হবে, তার ব্যবহার কেমন, তিনি আবেগী কিনা ইত্যাদি তার জন্ম মাস থেকে গণনা করে বলে দেয়া সম্ভব। তাই আজ চলুন, দেখে নিন আপনার জন্ম মাসটি আপনার সম্পর্কে কী বলে।
জানুয়ারিঃ
যারা জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহন করেছেন তাদের কঠোর পরিশ্রমী হতে দেখা যায়। অনেক বেশি মাত্রায় ক্যারিয়ার সচেতন হয়ে থাকেন তারা। অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং ভালো শ্রোতা এই মাসে জন্মগ্রহণকারীরা। প্রচণ্ড পরিমাণে আবেগী ও অভিমানী হন। বদ অভ্যাস গুলোর মধ্যে রয়েছে বদমেজাজ, জেদ ও একগুঁয়েমি। খুব বেশি সমালোচনা করতে পারেন এরা।
ফেব্রুয়ারিঃ
খুব বেশি বুদ্ধিমান ও লাজুক প্রকৃতির হয়ে থাকেন ফেব্রুয়ারি মাসের মানুষজন। অনেক বেশি বাস্তববাদী ও বন্ধু তৈরিতে পারদর্শী হতে দেখা যায়। অনেক বেশি হাসিখুশি এবং প্রাণোচ্ছল হিসেবে সুনাম হয়েছে। কিছুটা কুঁড়ে প্রকৃতির হয়ে থাকেন এই মাসে জন্মানো মানুষগুলো। একটু কিপটেমিও দেখা যায় এদের মধ্যে। নিজেদের মিতব্যয়ী ভাবলেও আসলেই কিছুটা কিপটে প্রকৃতির হয়ে থাকেন এরা।
মার্চঃ
গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে দেখা যায় এই মাসে জন্মানো মানুষগুলোকে। বিশ্বস্ত ও সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন তারা। দারুণ প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকেন। অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন এই মানুষগুলো। অনেক বেশি গম্ভীর থাকেন এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন বলে কিছুটা ঢ়ষধুভঁষ সরহফবফহয়ে থাকেন। নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে সকলকে আকর্ষণের চেষ্টা করেন সব সময়। এবং এরা মারাত্মক প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে থাকেন।
এপ্রিলঃ
কর্মঠ এবং ডায়নামিক ব্যক্তিত্বের মানুষ হন এপ্রিল মাসে জন্মানো মানুষজন। খুব সহজে সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা থাকে তাদের মাঝে। অনেক বেশি সাহসী এবং দৃঢ় মানসিকতার মানুষ হতে দেখা যায় তাদেরকে। খুব বেশি মাত্রায় সকলের মনোযোগকামী হয়ে থাকেন এরা। নিজেদের বুদ্ধির বেশিরভাগটাই খাটিয়ে থাকেন এই কাজে এবং সব সময় সকলের দৃষ্টির মধ্যমণি হয়ে থাকতে চান তারা।
মেঃ
খুব বেশি ইচ্ছাশক্তির অধিকারী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন। নিজের ইচ্ছা শক্তির গুণে সবসময় সফল হতে দেখা যায় মে মাসে জন্মানো মানুষগুলোকে। সৃজনশীল কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তারা। ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। খুব সহজে রেগে যান এবং রাগ নিয়ন্ত্রণে একেবারেই অপারদর্শী। মাঝে মাঝে নিজের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং সমস্যায় পড়ে যান।
জুনঃ
অনেক বেশি দূরদর্শী হয়ে থাকেন জুন মাসে জন্মানো মানুষজন। সব কিছু খুব ভালো করে ভেবে চিনতে করতে পছন্দ করেন। অনেক ভেবে চিনতে কাজ করেন। হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করেন এবং বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে থাকেন। খুব সহজে বিরক্ত হয়ে যান কোনো কিছুর ওপর এবং আবেগ খুব বেশি মাত্রায় ওঠা নামা করতে থাকে। অনেক বেশি সময় লাগে নিজের কষ্টটাকে ভুলতে। অনেক জেদি প্রকৃতির হয়ে থাকেন এরা।
জুলাইঃ
অনেক হাসিখুশি মানুষ হন জুলাই মাসে জন্মগ্রহণকারী মানুষগুলো। সেই সাথে প্রচণ্ড মাত্রায় আবেগী। নিজের কষ্টটা লুকিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করেন। এমন কিছু করতে চান সবসময় যে কাজে নিজেকে অনেক গর্বিত ভাবতে পারেন। মোটেও প্রতিশোধ পরায়ণ নন। বরং বেশ কোমল হৃদয়ের মানুষ হয়ে থাকেন। খুব বেশি অতীতমুখী এবং নিজেরাই নিজেদের কষ্টের জন্য দায়ী থাকেন। কিছু কিছু মানুষ মুডি হয়ে থাকেন। তবে তা শুধুমাত্রই আবেগের কারণে। কারো কাছ থেকে কষ্ট পেলে তা কখনোই ভোলেন না।
আগস্টঃ
সর্বদা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত থাকেন আগস্ট মাসে জন্মানো মানুষজন। অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাধীনচেতা মনোমানসিকতার হয়ে থাকেন। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনে ও সৃজনশীল কাজে পারদর্শী। অনেক বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে থাকেন তারা। খুব সহজে রেগে যান এবং প্রচণ্ড বদমেজাজি হয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই ঈর্ষান্বিত হতে দেখা যায় এবং কিছুটা দুমুখো স্বভাবের হয়ে থাকেন।
সেপ্টেম্বরঃ
খুব কোমল হৃদয়ের এবং ঠাণ্ডা মাথার মানুষ হয়ে থাকেন সেপ্টেম্বরের মানুষেরা। অনেক বিশ্বস্ত এবং সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন। অনেক বেশি আবেগী হয়ে থাকেন কিন্তু প্রকাশ করতে চান না একেবারেই। অনেক ভেবে চিনতে কাজ করতে পছন্দ করেন। অনেক গম্ভীর থাকেন এবং মানুষের সাথে খুব বেশি মিশতে পারেন না। কিছুটা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগে থাকেন।
অক্টোবরঃ
অনেক সাহসী এবং চ্যালেঞ্জিং মনমানসিকতার হয়ে থাকেন। কিছুটা গাম্ভীর্য নিজের মধ্যে ধরে রাখলেও ভেতরটা অনেক শিশুসুলভ হয়ে থাকে। ঘুরে বেড়াতে অনেক পছন্দ করেন এবং অনেক বেশি বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে থাকেন এই মাসের মানুষগুলো। অনেক বেশি মাত্রায় আবেগী এবং অভিমানী হয়ে থাকেন এরা। খুব সহজেই নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন।
নভেম্বরঃ
কিছুটা দার্শনিক প্রকৃতির হয়ে থাকেন। অনেক কিছুই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে থাকেন। দিবাস্বপ্নে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। অনেক কম কথা বলেন। সোজা কথার মানুষ, প্যাঁচের মানুষ নন একেবারেই। অন্যদের থেকে একেবারে আলাদা ধরণের চিন্তা করতে পছন্দ করেন।
অনেক বেশি ভাগ্যে বিশ্বাসী এবং আলসে প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এদের মনমানসিকতা একেবারেই বোঝা যায় না। অনেক কঠিন মনে হয় মানুষ হিসেবে।
ডিসেম্বরঃ
অনেক বিশ্বস্ত এবং হাসিখুশি মানুষ হয়ে থাকেন। অনেক বেশি ভালবাসতে পারেন নিজের মানুষগুলোকে। মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে বেশ পছন্দ করেন। অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন। এবং তারা এক কথার মানুষ। খুব দ্রুত মুড চেঞ্জ হয়ে যায়। হুটহাট মেজাজ করতে দেখা যায়। যদি কাউকে অপছন্দ করেন তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।

কিভাবে ছেলেদের চুল পড়া সমস্যা সমাধান করা যায়?
চুল পড়া বর্তমান সময়ের একটি খুব সাধারণ কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে এটা যে কেবল নারীদের সমস্যা তাই নয়। অল্প বয়সে মাথার চুল পড়ে যাওয়া ছেলেদের জন্য ভীষণ দুশ্চিন্তার একটি কারণ। কেনোনা বয়সের সাথে সাথে মাথার চুল কমে আসা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও টিনেজার বা কিশোর ছেলেদের মাথায় টাক পড়তে দেখা একটি অন্যতম বিব্রতকর ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার।
চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়েও চুল পড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে থাকে। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়।
চুল পরিষ্কার রাখা
চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করার বাজে অভ্যাস। চুল পড়া রোধে নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। নিয়মিত চুল না ধুলে মাথার ত্বকে ময়লা জমে খুশকির জন্ম হয় যা কিনা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। আর খেয়াল রাখুন চুল ধোয়ার জন্য আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পু যেন অবশ্যই হালকা হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা
আমাদের চুলের গঠনের অন্যতম উপাদান হল কেরাটিন, যা কিনা অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন এ উপাদান। মনে রাখবেন ভেতর থেকে পুষ্টি না সরবরাহ করতে পারলে বাইরের কোন কিছুই আপনাকে চুল পড়া থেকে রক্ষা করতে পারবেনা।
ভিটামিন
ভিটামিন কেবল মাত্র আমাদের দেহের সুস্থতার জন্যই জরুরী নয় বরং আমাদের চুলের জন্য ও এটা ভীষণ জরুরী। ভিটামিন- এ মাথার ত্বক থেকে উপকারি সিরাম সরবরাহ করে আর ভিটামিন এ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধ করতে চাইলে আগে সবার আগে নিশ্চিত করুন আপনার শরীর যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন পায়।
জিঙ্ক ও আয়রন গ্রহণ
জিঙ্ক আর আয়রন আমাদের মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখে। আর মাথার চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কারণ গুলোর একটি হলম মাথার ত্বকে অক্সিজেনের সল্পতা। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে জিঙ্ক আর আয়রন বেশী বেশী গ্রহণ করুন। যেমন মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। আপনি আপনার খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে ভুলবেন না।
পানি
চুল পড়ার জন্য দায়ী কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে আপনার শরীরের পানি ঘাটতি বা কম পানি পান করার প্রবণতা। চুল পড়া রোধ করতে চাইলে সবার আগে শরীরকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করুন। আপনার এই ছোট্ট চেষ্টা টুকুই চুল পড়া কমিয়ে তুলবে।
তেল ম্যাসাজ
চুল পড়া কমাতে আপনার জন্য আরও একটি কার্যকরী টিপস হলো চুলে তেল ম্যাসাজ করা। দিনে কিছুটা সময় নিয়ে আপনার মাথায় এসেন্সিয়াল অয়েল যেমন বাদাম তেল, অলিভ অয়েল বা নারিকেল হালকা ম্যাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে ও চুল পড়ার পরিমাণ কমে আসবে।
ভেজা চুল না আঁচড়ানো
যাদের চুল পড়ার পরিমাণ বেশী তাদের জন্য একটাই পরামর্শ তা হল ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। ভেজা অবস্থায় চুল ভীষণ দুর্বল থাকে আর অল্প একটু টান পড়লেই চুল গোঁড়া থেকে উঠে আসে। তাই চুল আগে ভালভাবে শুকিয়ে তারপর আঁচড়ান। আর চেষ্টা করুন বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা।
পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের রস
চুল পড়া প্রাকৃতিক উপায়ে বন্ধ করতে চাইলে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এই তিন উপাদানের যে কোন একটি বেছে নিন চুলের যত্ন করার জন্য। আপনি চাইলে শুধুমাত্র পেঁয়াজের রস নিয়ম করে চুলে লাগিয়েই উপকার পেতে পারেন।
গ্রিন টি
চুল পড়ার বিরুদ্ধে আপনার খুব কাজের অস্ত্র হিসেবে আপনার সাহায্য করতে পারে গ্রিন টি। গ্রিনটির দুইটি টি- ব্যাগ এক কাপ পরিমাণ পানিতে ফুটিয়ে ফুটন্ত পানি ঠাণ্ডা করুন। এরপর এই ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া পানিটুকু আপনার চুলের গোড়াসহ সারা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং পড়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
মেথি
চুল পড়া বন্ধ করতে মেথি আপনার উপকারে আসতে পারে। ১ টেবিল চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে বেঁটে তা মাথায় লাগান। হালকা ম্যাসাজ করে আধাঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়ার পরিমাণ কমে আসছে।
নিমপাতা
চুল পড়া বন্ধ করতে নিমপাতার জুড়ি নেই। তাজা নিমপাতা নিয়ে বেঁটে তাতে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ পর হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়তে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুল পড়া কমে আসবে।
কালোজিরা
মাথায় নতুন চুল গজাতে কালোজিরার তুলনা হয়না। এখন বাজারে হরহামেশাই কালোজিরার তেল কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন আবার ইচ্ছে করলে কালোজিরা খেতে পারেন।

যদি চান মাথায় অকালে টাক না পরুক তাহলে আজই ধূমপান ও অ্যালকোহলকে না বলুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে রক্ত দূষিত হয় ও মাথার ত্বকে সঠিক পরিমাণে রক্ত সরবরাহ না হওয়ায় মাথার চুল পড়ে যেতে দেখা যায়। তাই সবার আগে ধূমপান আর অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

ছেলেদের মাথার চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অতিরিক্ত চিন্তা করা ও মানসিক অবসাদে ভোগা। যতোটা পারুন নিজেকে হাসিখুশি রাখতে চেষ্টা করুন। আর খেয়াল রাখুন আপনার মাথার ত্বকে যেন কখনই ঘাম অতিরিক্ত সময় জমে থেকে শুকিয়ে না যায়। মাথার ত্বকে অতিরিক্ত ঘামভাবও চুল পড়ার জন্য দায়ী।


এলার্জিকে আজীবনের জন্য গুডবাই দিন
প্রায় বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। যা করতে হবে আপনাকে –
১) ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।
২) শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন।
৩) এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
৪) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
৫) প্রতি দিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে।
৬) কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরু, চিংড়ি সহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।

চিকিত্সা :- তবে অনেক দিন যাবৎ চুলকানি এবং এলার্জির সমস্যায় ভুগতে থাকলে অভিজ্ঞ এবং নিবন্ধনকৃত হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ মত কিছুদিন প্রপার ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন, আশা করি আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

বিদেশে আপনি কত টাকা/ইউরো/ডলার নিয়ে যেতে পারবেন বা আনতে পারবেন?
দেশ থেকে বিদেশে বা বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় আপনি কত টাকা/ইউরো/ডলার নিয়ে যেতে পারবেন?
১. বাংলাদেশী মুদ্রা সীমা
আগমণ বা বহির্গমণকালে কোনরূপ ঘোষণা ছাড়া মাথাপিছু বাংলাদেশী মুদ্রায় সবোর্চ্চ ৫,০০০ টাকা সঙ্গে রাখতে পারবেন। বাংলাদেশী মুদ্রা পাসপোর্টে এন্ডডোর্স হয় না, মনে রাখবেন!
বর্ণিত সীমার অতিরিক্ত টাকা থাকলে, বহির্গমণকালে অবশ্যই ডিপার্টিং বন্দরের যেকোন অথরাইজড ডিলার/ব্যাংক থেকে বিদেশী মুদ্রায় কনভার্ট করে পাসপোর্টে এনডোর্স করে নিন, কারণ ৫০০০ টাকার অতিরিক্ত এক পয়সাও বহন করা যাবে না!
২. বৈদেশিক মুদ্রা সীমা
ক) আগমনকালে যে কোন অংকের বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে আনতে পারবেন, এনডোর্সমেন্টের বালাই নেই। বুঝেনইতো, যত বেশি আনবেন তত বেশি দেশের লাভ! তবে ৫,০০০ মার্কিন ডলার বা তার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রার অধিক হলে নির্ধারিত FMJ ফরমে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট ঘোষণা দিতে ভুলে গিয়ে বিপদে পইড়েন না! ঘোষণায় পয়সা লাগে না!
খ) বহির্গমণকালে ‘ভ্রমণ কোটা’ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা অবশ্যই পাসপোর্টে এনডোর্স করে নিবেন। এনডোর্সমেন্ট ছাড়া সিঙ্গেল পেনিও নেয়া যাবে না। তবে Diplomats/Privileged persons/UN personnel, Govt. officials travelling on official duties- এঁদের ক্ষেত্রে এনডোর্সমেন্ট না হলেও চলবে! ফরেইনার ও এনআরবিগণ কিউতে থাকেন, পরে আসছি!
ভ্রমণ কোটা:-
ব্যক্তিগতঃ
বার্ষিক ১২,০০০ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা
>সার্কভুক্ত দেশ এবং মিয়ানমার = ৫,০০০ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা
>বাংলাদেশ কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য দেশ = ৭,০০০ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা
একসাথে উপর্যুক্ত দু’প্রকারের দেশ ভ্রমণ করলে কত হবে? সাত আর পাঁচে যা হয়!
চিকিৎসাজনিতঃ
ডাক্তারি কাগজপত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে ১০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। তার অতিরিক্ত দরকার হলে বিনা-চিকিৎসায় মরার রিস্ক নেয়ার দরকার নেই। যেকোন অথরাইজড ব্যাংককে প্রয়োজনীয় কাজগপত্র দেখালেই বেঁচে যাবেন! প্রয়োজন সাপেক্ষে অতিরিক্ত মুদ্রার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তাঁরাই নিবে দিবেন।
শিক্ষাজনিতঃ
ব্যক্তিগত ভ্রমণ কোটার সমান। তো টিউশন ফি, হোস্টেল ফি.. এগুলো নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মুদ্রা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগেভাগেই জমা/পাঠিয়ে দিন। প্রবলেম সলভড!
মাইগ্রেশনজনিত প্রথমবারঃ
সেইম টু সেইম…ব্যক্তিগত ভ্রমণ!
ব্যাবসায়িকঃ
প্রতি ভ্রমণে সাম্প্রতিক পরিবর্তিত ক্যাশ-হোল্ডিং-লিমিট মনোযোগসহ পড়বেন প্লিজ….
– মার্কিন ডলারে ৫০০০ + অবশিষ্ট প্রাপ্যতা, অন্য অবাধ বিমিনয় যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায়
– মার্কিন ডলার ছাড়া অন্য অবাধ বিমিনয় যোগ্য মুদ্রায় প্রাপ্যতার পুরোটায়, খুব খুশী, না??

– এত খুশী হওয়ার কিছু নাই, এত্তে খুশির খবর আছে, তাই ক্রেডিট/ডেবিট/প্রিপেইড কার্ডে নেয়া যাবে প্রাপ্যতার পুরোটাই, যেখানে মাকিন-অমার্কিন ডলারের কোনরূপ বাধানিষেধ নাই!
১২ বছরের কম ছোট্ট সোনামনিদের মন খারাপ? ১০০ বছর বয়সীরাও যা পাবে, তার অর্ধেক…কম কী!
বৈদেশিক মুদ্রা পকেটে করে নেন আর হাতে করে নেন…পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট মাস্ট। ভিসা টিকেট কাগজপত্র বাসায় ফেলে এসে বারবার ব্যাংকে লেফ্ট-রাইট করার মানে হয়না। আর ধরুন, বছরের প্রথম ভ্রমণেই লোভ সামালতে পারলেন না… মাশ-আল্লাহ, প্রাপ্যতার পুরোটা নিয়ে দিলেন রওয়ানা। ফিরে এসে দেখলেন কাজের কাজ কিছুই হল না… বেশির ভাগ মুদ্রাই পকেটে! পরের ভ্রমণ খতম?? নাহ, দয়াকরে কার্বমার্কেটে না গিয়ে অব্যায়িত মুদ্রা অথরাইজড ডিলার/ব্যাংকে ক্যাশ করুন এবং রসিদ (এনক্যাশমেন্ট সার্টিফিকেট) সংগ্রহে রাখুন। পরবর্তি ভ্রমণে কোটা এডজাস্টমেন্টে ওটাই একমাত্র ভরসা!
ফরেইনার, এনআরবিদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি মুদ্রা সীমার শর্ত ছাড়া অন্য কোটা শর্ত খাটবেনা। যেই পরিমাণ বোইদেশিক মুদ্রা নিয়ে দেশে এসেছেন অনধিক সেই পরিমাণ অব্যায়িত মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্স ছাড়াই নিয়ে যেতে পারবেন। আসার সময় ৫০০০ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের অতিরিক্ত হলে নির্ধারিত এফএমজে ফরমে আস্তে করে ডিক্লেয়ার করে আসবেন এবং যাবার সময় সেই ডিক্লেয়ার্ড ফরম বাসায় রেখে আইসেন না!
স্থল, নৌ বা বিমান, যে কোন বন্দরের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হইবেক!

No comments: